বাউফলে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ বেওয়ারিশ দাফনের পর সনাক্ত

বাউফলে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ বেওয়ারিশ দাফনের পর সনাক্ত

 মোঃ দেলোয়ার হোসেন, পটুয়াখালীর বাউফলে নিখোঁজ হওয়া ইমরান (২২) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের পর আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে বেওয়ারিশ দাফনের ৮ দিন পরে ওই যুবকের লাশ সনাক্ত করেছেন স্বজনেরা। আজ সোমবার পটুয়াখালী আদালতে ওই লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন করেছেন মৃতের পিতা মোঃ সেলিম মৃধা। মৃত ইমরান বাউফল সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মৃত ইমরানের চাচা রেজাউল করিম জানান, ধান্দী গ্রামের সেলিম মৃধার ছেলে ইমরান গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ী থেকে বের হয়ে এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করার পরেও না পাওয়ায় নিখোঁজের ৩ দিন পর ২১ শে সেপ্টেম্বর বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন উমরানের বাবা মোঃ সেলিম মৃধা। এরপরও ছেলে হারিয়ে পাগল প্রায় সেলিম মৃধা এ উপজেলার বাইরেও খোঁজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত রোববার বিকালে পাশ্ববর্তী উপজেলা দশমিনয় খোজ করতে গেলে এক চায়ের দোকনদার গত ১০ অক্টোবর শনিবার দশমিনা থানা পুলিশ একটি অজ্ঞাত লাশ দশমিনার কাটাখালি খাল থেকে উদ্ধার করেছেন বলে জানালে সেলিম মৃধা ওই থানায় যোগাযোগ করেন।
 দশমিনা থানা পুলিশ অজ্ঞাত ওই লাশ উদ্ধার করে রেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমানে মফিদুলে দান করেন। আঞ্জুমানে মফিদুল পটুয়াখালী করবস্থানে ওই লাশ দাফন করা হয়। পরে ছেলের ব্যবহার করা পোশাক দেখে ছেলেকে সনাক্ত করে পটুয়াখালী আদালতে ওই লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন করেছেন মৃতের পিতা মোঃ সেলিম মৃধা। মৃত ইমরান মানসিক রোগী ছিলেন বলেও জানান তিনি।